বাংলাদেশকে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

তাজা খবর:

বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের বিপরীতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশকে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা দেশি মুদ্রায় প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা জানান।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৈঠকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ করে করোনার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উত্তরণে দ্রুততার সঙ্গে বাংলাদেশকে সহায়তার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী। এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এডিবিকে আরও উন্নয়ন সহযোগিতা প্রদানের অনুরোধ জানান। সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও এডিবির মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলেও এডিবিকে জানান অর্থমন্ত্রী।

সাক্ষাতে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং বলেন, বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত কার্যক্রম প্রশংসনীয়। সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে এ অর্থবছরে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা প্রক্রিয়াধীন আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এডিবির দৃঢ় সম্পর্ক রয়েছে এবং এডিবি বাংলাদেশের পাশে থাকবে। এ দেশের গ্রামীণ ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা অব্যাহত রাখা এবং জলবায়ু সহনশীল উন্নয়ন বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।

কোভিড-১৯ মহামারির ক্রান্তিকালে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এডিমন জিনটিং। এ মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ অন্যতম সেরা উদাহরণ স্থাপন করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় এডিবির ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ও এডিবির ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপনের বিষয়েও আলোচনা হয়। আগামী ২৬-৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় এডিবি বোর্ডের ৫৫ তম বার্ষিক সভায় অংশগ্রহণের জন্য অর্থমন্ত্রীকে আগাম ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর।

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী এডিবি এ পর্যন্ত বাংলাদেশকে প্রায় ২৭.৫৫৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ সহায়তা দিয়েছে। সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি প্রধানত বিদ্যুৎ, শিক্ষা, পরিবহন, জ্বালানি, পানি সম্পদ, কৃষি, স্থানীয় সরকার, সুশাসন, আর্থিক এবং বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *