তাজা খবর:
ঢাকা জেলার সাভারের আমিন বাজার র্দীঘ দিন মামলায় স্থগিত আদেশের শেষে তড়িঘড়ি করে এক দিনের ভিতরেই ল্যান্ডিং ষ্টেশনের ইজারা দেয় ঢাকা নদী বন্দর বিআইডব্লিউটিএ। এতে ইসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে ইজারা দেওয়া হলে ক্ষুব্দ হয় অন্য ইজারাদাররা।
বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবীর স্বাক্ষরিত এক কার্যাদেশ পত্রে আমিন বাজার ল্যান্ডিং ষ্টেশন শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টেটি স্পট কোটেশনে পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয় ।
কার্যাদেশ পত্রে থেকে জানা যায়, ৮ আগষ্ট থেকে ৩১ শে আগষ্ট পর্যন্ত ঢাকা নদী বন্দর নিয়ন্ত্রণাধীন আমিন বাজার ল্যান্ডি ষ্টেশন শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্টটি ইজারা দেওয়া হয়। এতে আরো উল্লেখ রয়েছে সোমবার (৭ আগষ্ট) স্পট কোটেশনের মাধ্যমে সর্ব্বোচ্চ দর প্রস্তাব হওয়ায় স্থানীয় কমিটি ইসমাইল হোসেনকে অনুমতি পত্র দেয়।
তবে সাবেক ইজারাদার রাজু আহম্মেদ জানান, ‘হঠাৎ করেই সোমবার (৭ আগষ্ট) কোর্টের স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করে। তবে আমাকে কোন চিঠি পাঠানো বা ঘাট কাউকে হস্তান্তরের জন্য কিছু জানানো হয়নি।রাতে ইসমাইলের লোক জন ঘাট দখল করতে আসলে পরে আমি জানতে পারি। তবে ঘাট কিভাবে ইসমাইল পেলো তা কোনও ইজারাদার জানে না।পরে ইসমাইলের লোক আমার মোবাইলে একটি কপি পাঠায়। তখন জানতে পেরেছি, সে ঘাট পেয়েছে। তবে এখানে কোনো দর আহ্বান করা হয়নি বা কাউকে দর প্রস্তাবের সুযোগ দেওয়া হয়নি’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি।
এবিষয়ে বন্দর ও পরিবহন বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবীর জানান, ‘সাময়িকভাবে এক জন লোককে কোটেশনের মাধ্যমে আমিন বাজার ল্যান্ডিং ষ্টেশন দেওয়া হয়েছে। এটার কোনো ট্রেন্ডার দেওয়া হয় নাই। ট্রেন্ডার দেওয়া হবে আগামী মাসের ১ তারিখে । মূলত সরকার থেকে দুইটি নিয়ম আছে। একটা সরাসরি কালেকশন করতে পারে বা লোক নিয়োগ করতে পারে।
তবে ইজারাদার ইসলাইল ট্রেন্ডার ছাড়া কিভাবে ঘাট পেলো জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘাট আমি পেয়েছি। বিস্তারিক জানতে চাইলে তিনি তার অফিসে দেখা করতে বলে প্রতিবেদককে।
বিআইডব্লিউটিএ অতিরিক্ত পরিচালক (আইন) এ,কে,এম আরিফ উদ্দিন জানান, সোমবার নিম্ন আদালত থেকে রায় হওয়ার পর ওই দিনই ইসমাইল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।