সাভারের আশুলিয়ায় এটিএম কার্ডে টাকা তুলে দেয়ার নামে অভিনব প্রতারনা

তাজা খবর:

‘আপা আপনার কার্ডটা দেন, আমি টাকা তুলে দিচ্ছি’ এই কথা বলে কৌশলে হাতে নিয়ে ব্যাংকের এটিএম কার্ড বদলে ফেলেন। এই সুযোগে প্রতারক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নেন। ভুক্তভোগী পোশাককর্মী বাসায় গিয়ে মোবাইল ফোনে টাকা তোলার মেসেজ পান। পরদিন আবার এটিএম বুথে গিয়ে সেই লোকের দেখা পান। এ সময় প্রতারক পালানোর চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের লোকজন তাঁকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে সোমবার আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকায় জনতার হাতে আটক ওই ব্যক্তিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। পরে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী পোশাককর্মী শিউলি বেগম (২২)।

ভুক্তভোগী শিউলি বেগম স্বামী সোহাগ হাওলাদারের সঙ্গে আশুলিয়ায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁদের বাড়ি পিরোজপুরে। তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দুজনই পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

প্রতারকের নাম রাজীব শেখ (২৭)। তিনি বাগেরহাটের কচুয়া থানার গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা। আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় তিনি ভাড়া থাকেন।

মামলার এজাহারে শিউলি বেগম উল্লেখ করেন, গত শনিবার সাভারের আশুলিয়ার নরসিংহপুর নাসা গ্রুপের সামনের এক্সিম ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে যান। এ সময় এক লোক তাঁকে বলেন, ‘আপা আপনার কার্ডটা আমাকে দেন, আমি টাকা তুলে দিচ্ছি।’ তিনি কার্ড দিয়ে পিন কোডও বলে দেন। কিন্তু বুথে কার্ড ঢোকানোর পর বলা হয় নেটওয়ার্ক সমস্যা, এখন টাকা ওঠানো যাবে না।

এজাহারে বলা হয়, এটিএম কার্ড ফেরত নিয়ে বাসায় চলে যান শিউলি বেগম। পরে মোবাইল ফোনে ৯ হাজার টাকা তোলার মেসেজ পান। পরদিন আবার এটিএম বুথে গিয়ে সেই লোকের দেখা পান। এ সময় তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন আশপাশের লোকজন তাঁকে আটক করে। এ সময় তিনি এটিএম কার্ড বদলে তা দিয়ে টাকা তোলার কথা স্বীকার করেন। পরে আশুলিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ তাঁকে আটক করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদরুজ জামান বলেন, এটিএম বুথে সহযোগিতার কথা বলে প্রতারণা করেন সেই ব্যক্তি। নরম স্বভাবের নারীদের টার্গেট করতেন তিনি। টাকা তুলে দেওয়ার কথা বলে আসল কার্ড হাতে নিয়ে ভুক্তভোগীকে বাতিল কার্ড ধরিয়ে দিতেন। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন মানুষের আরও ছয়টি এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ১০ অক্টোবর একই অপরাধে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। যাদের মধ্যে তিনজনই ছিল আশুলিয়ার। তারাও এটিএম বুথের সামনে গিয়ে সাধারণ মানুষের টাকা তুলে দেওয়ার সহযোগিতা করতে চেয়ে সুযোগ বুঝে কার্ড বদলে টাকা তুলে নিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *