সাভারে চুরি যাওয়া ২ লাখ টাকা ভুক্তভোগীকে ফেরত দিল পুলিশ

তাজা খবর:

ঢাকা জেলার সাভারের একটি বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এ ঘটনায় চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার বিক্রির প্রায় দুই লাখ টাকা জব্দ করে ভুক্তভোগীর কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা। এর আগে গত ৪ মে রাতে ভুক্তভোগীর হাতে খোয়ানো টাকা তুলে দেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত চোরের নাম সিদ্দিক মিয়া (৪০)। তিনি সাভার পৌরসভার বাড্ডা ভাটপাড়া এলাকার মৃত আলম মিয়ার ছেলে। তার বাড়ি থেকেই দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

সাভার মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহমেদ বলেন, গত ৯ এপ্রিল গভীর রাতে সাভার পৌরসভার মধ্যপাড়া এলাকার হাবিবুর রহমানের বাড়ির জানালার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে চোর। এ সময় তাদের স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি যায়। ঘটনার দিন সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে চুরির মামলা করেন ভুক্তভোগী। মামলার পর আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। একাধিক সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণের পর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চোর সিদ্দিক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্যমতে তারই বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার বিক্রির নগদ দুই লাখ টাকা জব্দ করা হয়। আদালতের মাধ্যমে এই টাকা ভুক্তভোগীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চোর গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। রিমান্ড মঞ্জুর হলে তিনদিনের জিজ্ঞাসাবাদে আসামির দেওয়া তথ্য নিয়ে চুরির নগদ ১ লাখ ২০ হাজার ও স্বর্ণ বিক্রির ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের আদেশ অনুযায়ী গত ৪ মে ভুক্তভোগীর কাছে জব্দকৃত ২ লাখ টাকা হস্তান্তর করা হয়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, টাকা বা স্বর্ণালংকার হারিয়ে গেলে সহজে তা পাওয়া যায় না। এনকি চোরও এতো দ্রুত গ্রেপ্তার হয় না। কিন্তু সাভার মডেল থানা পুলিশ দ্রুত সময়ে চোরকে গ্রেপ্তার করে আমার চুরি যাওয়া জিনিস উদ্ধার করেছে। আমি পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, সাভার মডেল থানা পুলিশ মামলার আসামি গ্রেপ্তারের পাশাপাশি চুরি যাওয়া মালামাল ফেরত পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *