বয়সভিত্তিক সাঁতারুরাই সাঁতারের ভবিষ্যত

বয়সভিত্তিক সাঁতারুরাই সাঁতারের ভবিষ্যত

তাজা খবর:

দুই বছর পর মিরপুরস্থ সৈয়দ নজরুল ইসলাম জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে আজ থেকে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ৩৪তম বয়সভিত্তিক জাতীয় সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে এবারের আয়োজন।

আজ বিকেলে এবারের আসর উদ্বোধন করেন সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। এরপর সাঁতারুদের ফিজিক্যাল ফিটনেসের জন্য নৌবাহিনীর সহায়তায় সুইমিং কমপ্লেক্সে নির্মিত নতুন জিমনেশিয়ামের উদ্বোধন করেন তিনি। প্রথমদিন ৩৬টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২টি ইভেন্টে নতুন জাতীয় রেকর্ড হয়। প্রথম দিন শেষে ১৭টি স্বর্ণ, ২০টি রুপা, ১৪টি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক তালিকা ১ম স্থান বিকেএসপি এবং বাংলাদেশ আনসার ৭টি স্বর্ণ, ৪টি রুপা ও ২টি ব্রোঞ্জ পেয়ে পদক তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

৩৪তম বয়সভিত্তিক সাঁতার ইভেন্ট দিয়েই এতদিন পর প্রাণ ফিরল মিরপুরের সুইমিং পুলে। প্রাণের অঙ্গনে ফিরতে পেরে ভীষণ খুশি বয়সভিত্তিক ক্ষুদে সাঁতারু থেকে শুরু করে জাতীয় সাঁতারুরাও। উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পর চারটি ইভেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ২০০ মিটার ফ্রি-স্টাইল (১৮-২০ বছর যুবতী) ইভেন্টের ফাইনাল দিয়ে শুরু হয় পদকের লড়াই।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তরফদার মো. রুহুল আমিন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণার পর নৌবাহিনী প্রধান সাঁতারুদের জলের লড়াই উপভোগ করেন। এ সময় সাঁতার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন, ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ মোল্লাসহ অন্যরা নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে ছিলেন। এমন আয়োজনে ভীষণ খুশি নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল। তিনি স্পন্সর প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেককে ধন্যবাদ জানান।

তিনদিন ব্যাপী প্রতিযোগিতার সমাপ্তি টানা হবে আগামী ৫ অক্টোবর। আর ততক্ষণ পর্যন্ত সাঁতারুদের জলের লড়াই উপভোগের আহবান জানান নৌবাহিনী প্রধান। ৫টি গ্রুপে (অনূর্ধ্ব-১০, ১১-১২, ১৩-১৪, ১৫-১৭, ও ১৮-২০ যুবক-যুবতী) বালক-বালিকা মিলে মোট ১০৩টি ইভেন্টে এবার অংশগ্রহণ করবেন সাঁতারুরা। ডাইভিং পুলে স্প্রিংবোর্ড সংযোজন হওয়ায় ডাইভিং প্রতিযোগিতা এবার এই পুলেই অনুষ্ঠিত হবে। বিজয়ীদের সোনা, রুপা ও ব্রোঞ্জ পদক দেয়া হবে। এছাড়াও সেরা সাঁতারুকে (বালক ও বালিক) ফেডারেশনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হবে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে সাঁতার ফেডারেশনের সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বলেন, ‘এ বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর কার্যক্রম চলবে। এবারের বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতাটি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধুর নামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন একটি প্রতিযোগিতায় আমি আমন্ত্রিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক দেশসেরা প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক এবং এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান তরফদার মো. রুহুল আমিনকে ধন্যবাদ জানাই। এবারের প্রতিযোগিতার ভেতর দিয়ে ভবিষ্যতের সাঁতারুরা বেরিয়ে আসবে। গত বছর করোনার কঠিন সময়ে আমি ফেডারেশনের দায়িত্ব হাতে নিয়েছি। করোনার কারণে এতদিন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। চার বছর আগে নৌবাহিনীর হাত ধরেই সাঁতারের ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। এটা আমাদের বিরাট অর্জন। আমি বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতার প্রতিযোগীদের সাফল্য কামনা করছি।’

সাঁতার ফেডারেশনের সহ-সভাপতি তরফদার রুহুল আমিন বলেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে উপলক্ষ্য করে এবারের বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ডাইভিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনার কারণে এতদিন ধরে আমাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আমাদের ফেডারেশন সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবালের নির্দেশায় আবারো সাঁতারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সামনে আমরা ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতা করব। এসব প্রতিযোগিতার ভেতর দিয়ে ভবিষ্যতের সাঁতারুরা বেরিয়ে আসবে এবং একদিন তাঁরাই দেশের লাল-সবুজ পতাকাকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে। দেশের মান আরো উঁচুতে নিয়ে যাবে।’

সাঁতার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এমবি সাইফ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বয়সভিত্তিক এবারের আসর। এমন আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকায় আমি ফেডারেশন সভাপতি নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *